তৃণমূলের প্রার্থীর নাম ঘোষনার আগেই ভূমিপুত্র প্রার্থী চাই বলে পড়লো পোষ্টার : সাপ লুডো খেলা হবে

3rd March 2021 9:18 am বর্ধমান
তৃণমূলের প্রার্থীর নাম ঘোষনার আগেই ভূমিপুত্র প্রার্থী চাই বলে পড়লো পোষ্টার : সাপ লুডো খেলা হবে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( জামালপুর ) : নির্বাচনের দিন ঘোষনা হলেও এখনো অবধি শাসক বিরোধী কোন দল তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করেনি । আজ বুধবার শাসকদল তৃণমূল প্রথম পর্বের প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করতে পারে বলে সুত্রের খবর । বামফ্রন্ট ও আজকেই তাদের প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে বলেও খবর । সকলেই অত‍্যন্ত মেপে পা ফেলতে চাইছেন । শাসক শিবির তৃণমূল ও যথেষ্ট সাবধান বর্তমান পরিস্থিতিতে । যেভাবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন দলের নেতারা তাতে একসাথে ২৯৪ টা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষনা হলে ক্ষোভ বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে । তাই ধাপে ধাপে নাম প্রকাশ করতে পারে তৃণমূল এমনটাই ইঙ্গিত । এর ই মধ‍্যে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূলের দলীয় প্রতীক ও মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর ছবি সহ লাগানো হল " ভূমিপুত্র চাই " এই দাবী রেখে প্রচার ব‍্যানার । বহিরাগতকে প্রার্থী করলে আবার ও জামালপুরের জনগন সাপ লুডো খেলা খেলে দেবে বলে ব‍্যানারে লেখা হয়েছে । যদিও কারা এই প্রচার ব‍্যানার লাগিয়েছে তা লেখা নেই । জামালপুর বিধানসভায় আগে টিকিট দেওয়া হয়েছিল বর্ধমান শহরের বাসিন্দা উজ্জ্বল প্রামাণিককে । তিনি বাম প্রার্থী সমর হাজরার কাছে পরাজিত হন । জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল নেতা মেহমুদ খান এর সংগঠনই সবথেকে বেশী শক্তিশালী জামালপুরে । কিন্তু তার সাথেই দূরত্ব আজ ও অব‍্যাহত উজ্জ্বল প্রামাণিক গোষ্ঠীর । মেহমুদ খান জামালপুরের ভূমিপুত্র । যেহেতু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার উন্নয়নের কাজ তার হাত ধরেই পরিচালিত হয় । এবার টিকিট বন্টনের আগেই " ভূমিপুত্র চাই " দাবী উঠলো জামালপুরে । এ বিষয়ে অবশ‍্য তৃণমূলের কোনো নেতাই মুখ খুলতে চান নি । বামেরা অবশ‍্য জানিয়েছে , কে কাদের প্রার্থী হবে ওসব ভাবার সময় নেই । মানুষের দৈনন্দিন সমস‍্যা নিয়ে আন্দোলনে বামেরাই সারা বছর আছে । জামালপুর বামপন্থী দের পাশে থেকেছে বরাবর । এবারেও বামেরাই জিতবে জামালপুরে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।